কক্সবাজার থেকে ঢাকা ট্রেনে যাওয়া একটি জনপ্রিয় রুট—ট্রেনবিহীন বাস/বাস+নৌপথের বিকল্প হিসেবে এসেছে ট্রেন সার্ভিস। সংক্ষেপে বললে – কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য সরাসরি ট্রেন রয়েছে, এবং মোট সময় লাগবে প্রায় ৮–৯ ঘণ্টা, ভাড়া হবে প্রায় ৬৯৫–২,৩৮০ টাকা (ক্লাস অনুযায়ী)।
কক্সবাজার থেকে ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া ২০২৫ জেনে নিন
বর্তমানে Bangladesh Railway কক্সবাজার থেকে ঢাকা রুটে ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে। যদিও সার্ভিস নিয়মিতভাবে প্রতিদিনের মতো নাও হতে পারে। তথ্যসূত্র অনুযায়ী দুটি ইন্টারসিটি ট্রেন এই রুটে চলাচল করছে— Cox’s Bazar Express এবং Parjatak Express।
কক্সবাজার থেকে ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী
আপনি যদি কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাচ্ছেন, তাহলে নিচের সময়সূচীটি জরুরি:
-
ট্রেন নাম: Cox’s Bazar Express (নম্বর 813)
-
ছাড়ার সময় (কক্সবাজার): দুপুর ১২:৩০ টা
-
পৌঁছানের সময় (ঢাকা): রাত ৯:০০ টা
-
সাপ্তাহিক বন্ধ নেই (প্রতিদিন চালু)
-
-
ট্রেন নাম: Parjatak Express (নম্বর 815)
-
ছাড়ার সময় (কক্সবাজার): সন্ধ্যার দিকে ৮:০০ টা (তথ্য প্রায়)
-
পৌঁছানের সময় (ঢাকা): ভোর ৪:৩০ টা (প্রায়)
-
সাপ্তাহিক বন্ধ: রবিবার
-
মোট যাত্রার সময়: প্রায় ৮–৯ ঘণ্টা (ক্লাস ও সার্ভিস অনুযায়ী একটু কম বা বেশি হতে পারে)।
রুট: কক্সবাজার → চট্টগ্রাম → ঢাকা (মাঝে মধ্যবর্তী স্টপ)
কক্সবাজার থেকে ঢাকা ট্রেনের ভাড়া (২০২৫)
নিচে মোটামুটি ভাড়ার হিসাব দেওয়া হলো (উভয় সেকশনের যোগফল হিসেবে বা আনুমানিক হিসেবে):
| শ্রেণি | আনুমানিক ভাড়া (৳) |
|---|---|
| শোভন চেয়ার | ≈ ৬৯৫ |
| স্নিগ্ধা | ≈ ১,৩২৫ |
| এ.সি সিট (AC Seat) | ≈ ১,৫৯০ |
| এ.সি বার্থ (AC Berth) | ≈ ২,৩৮০ |
ভাড়া ট্রেনের ধরণ, সেবা ও মৌসুমভেদে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে—টিকিট কাটার সময় রেলওয়ে বা টিকিটিং সাইটে চেক করা ভালো।
ট্রেন টিকিট বুকিং পদ্ধতি
-
অনলাইনে টিকিট কেনা সহজ হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট বা “রেল সেবা” অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে ঘরে বসেই টিকিট বুক করা সম্ভব। Bangladesh Railway+1
-
স্টেশন থেকেও সরাসরি টিকিট সংগ্রহ করা যায়, তবে উৎসব/ভ্রমণ মৌসুমে ভিড় বেশি হয়—অনলাইনে আগে থেকেই বুকিং করা ভালো।
-
যাত্রার দিন এবং ক্লাস ঠিক করে আগে থেকে রিজার্ভ করা নিরাপদ।
যাত্রাপথে করণীয় ও ব্যক্তিগত টিপস
-
অন্তত ৩০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছান—বিশেষ করে বড় ব্যাগ বা পরিবারসহ হলে।
-
মূল্যবান জিনিস সবসময় নিজে সঙ্গে রাখুন, অচেনা মানুষের উপর ভরসা কম করুন।
-
খাবার ও পানীয় নিজের সাথে নিয়ে যান—কখনও কখনও ট্রেনে বিক্রিত খাবার সময়মতো বা ভালো মানের নাও হতে পারে।
-
যদি প্রথমবার এই রুটে যান, তাহলে পরবর্তী স্টপ বা পৌঁছানোর সময় আগে থেকেই গুগল ম্যাপে দেখে নিন এবং ট্রেনের সময়সূচী এক্সেল অথবা প্রিন্ট করে সঙ্গে রাখুন।
আমার শেষ মন্তব্য
কক্সবাজার থেকে ঢাকা ট্রেন যাত্রা—সরাসরি হলে বেশ সহজ এবং আরামদায়ক। সঠিক সময়সূচী, সাশ্রয়ী ভাড়া ও আগে থেকে টিকিট বুকিং—এই তিনটি বিষয় মাথায় রাখলে আপনার যাত্রা হবে ঝামেলামুক্ত। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই রুটকে দিন বা রাত উভয় যাত্রার জন্যই নিরাপদ ও আনন্দদায়ক মনে করি।