ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া ২০২৫ জেনে নিন এখান থেকে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এখন ট্রেনে যাওয়া সবচেয়ে সহজ, দ্রুত ও আরামদায়ক উপায়গুলোর একটি। বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিদিন এই রুটে একাধিক আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনা করছে। যাত্রীরা এখন সরাসরি ঢাকা (কমলাপুর বা বিমানবন্দর স্টেশন) থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারেন।
যারা অনলাইনে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া সম্পর্কে জানতে সার্চ করছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। তাদের সুবিধার্থে আমরা আমাদের এই পোস্টে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। আপনারা এখান থেকে জানতে পারবেন ঢাকা থেকে চট্রগ্রামে বর্তমানে কোন ট্রেন গুলো নিয়মিত চলাচল করছে , এবং গন্তব্য স্থানে যেতে কত সময় লাগবে এবং ভাড়া কত বিস্তারিত তথ্য এখান থেকে জানতে পারবেন।
বর্তমানে এই রুটে নিচের জনপ্রিয় আন্তঃনগর ট্রেনগুলো চলাচল করছে —
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (Sonar Bangla Express)
ট্রেন নম্বর: ৭৮৮
ছাড়ার সময় (ঢাকা): সকাল ৭:০০ টা
পৌঁছার সময় (চট্টগ্রাম): সকাল ১১:৫৫ মিনিট
সাপ্তাহিক বন্ধ: বুধবার
মোট যাত্রার সময়: প্রায় ৫ ঘণ্টা
রুট: ঢাকা → কুমিল্লা → ফেনী → চট্টগ্রাম
সুবর্ণ এক্সপ্রেস (Suborno Express)
ট্রেন নম্বর: ৭০২
ছাড়ার সময় (ঢাকা): বিকেল ৪:৩০ মিনিট
পৌঁছার সময় (চট্টগ্রাম): রাত ৯:২৫ মিনিট
সাপ্তাহিক বন্ধ: সোমবার
মোট যাত্রার সময়: প্রায় ৫ ঘণ্টা
রুট: ঢাকা → ভৈরব → কুমিল্লা → ফেনী → চট্টগ্রাম
মহানগর প্রভাতী (Mahanagar Provati)
ট্রেন নম্বর: ৭০৪
ছাড়ার সময় (ঢাকা): সকাল ৭:৪৫ মিনিট
পৌঁছার সময় (চট্টগ্রাম): দুপুর ২:০০ টা
সাপ্তাহিক বন্ধ: নেই
মোট যাত্রার সময়: প্রায় ৬ ঘণ্টা
মহানগর গোধূলী (Mahanagar Godhuli)
ট্রেন নম্বর: ৭২২
ছাড়ার সময় (ঢাকা): রাত ৯:২০ মিনিট
পৌঁছার সময় (চট্টগ্রাম): ভোর ৩:৩০ মিনিট (পরবর্তী দিন)
সাপ্তাহিক বন্ধ: নেই
মোট যাত্রার সময়: প্রায় ৬ ঘণ্টা ১০ মিনিট
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের ভাড়া (২০২৫)
নিচে ক্লাসভেদে আনুমানিক ভাড়ার তালিকা দেওয়া হলো — ভাড়া ট্রেনের ধরণ, সেবা ও মৌসুমভেদে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
| শ্রেণি | আনুমানিক ভাড়া (৳) |
|---|---|
| শোভন চেয়ার | ≈ ২৮৫ – ৩৪৫ |
| স্নিগ্ধা | ≈ ৬৭৩ – ৭৭৫ |
| ফার্স্ট ক্লাস | ≈ ৪৫০ – ৫৫০ |
| এ.সি. সিট | ≈ ৯৬০ – ১,১০০ |
বিশেষ টিপস:
-
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটা যায় railway.gov.bd অথবা রেলশেবা অ্যাপ থেকে।
-
সপ্তাহান্ত ও ছুটির দিনে আগেভাগে টিকিট কাটা উত্তম।
-
অফিসিয়াল সাইটে সর্বশেষ সময়সূচী ও ভাড়া অবশ্যই যাচাই করে নিন।
ট্রেন টিকিট বুকিং পদ্ধতি
আজকাল অনলাইনে টিকিট কেনা অনেক সহজ হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা “রেল সেবা” অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই টিকিট বুক করতে পারবেন। স্টেশন থেকেও সরাসরি টিকিট সংগ্রহ করা যায়, তবে ভিড় এড়াতে অনলাইনে আগে থেকেই বুকিং করে রাখা ভালো।
যাত্রাপথে করণীয় ও ব্যক্তিগত টিপস
আমি ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণের সময় কিছু নিয়ম মেনে চলি।
- অন্তত ৩০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছে যাই।
- মূল্যবান জিনিস সবসময় সাথে রাখি।
- খাবার ও পানীয় নিজের সাথে বহন করি, কারণ ট্রেনে বিক্রি হওয়া খাবারের মান সবসময় একই রকম হয় না।
এছাড়া, যদি আপনি প্রথমবার এই রুটে যান, তাহলে গুগল ম্যাপে আগে থেকেই যাত্রাপথ দেখে নিন এবং ট্রেনের সময়সূচী প্রিন্ট করে রাখুন।
আমার শেষ মন্তব্য
ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম ট্রেন ভ্রমণ সরাসরি , ঢাকা হয়ে যাত্রা করলে বেশ সহজ এবং আরামদায়ক।
সঠিক সময়সূচী, সাশ্রয়ী ভাড়া ও আগে থেকে টিকিট বুকিং – এই তিনটি বিষয় মাথায় রাখলে আপনার যাত্রা হবে ঝামেলামুক্ত। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই রুটকে পরিবার ভ্রমণ বা দীর্ঘ যাত্রার জন্য নিরাপদ ও আনন্দদায়ক মনে করি।